ইলম অর্থ জ্ঞান, জানা, অবগত হওয়া, বিদ্যা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় ইলম হলো কোনো বস্তুর প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করা অর্থাৎ কোনো বিষয়ের যথাযথ ও যাবতীয় তত্ত্ব ও তথ্যানুসারে সম্যক জ্ঞান অর্জন করাকে বলা হয় ইলম। অন্যের কথায় ইলম হলো নবির মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান যা মানুষ বুদ্ধির দ্বারা আবিষ্কার করতে পারে না অর্থাৎ যে ইলম মানব হৃদয়ে তাওহিদের প্রেরণা জাগায় এবং নিজের মধ্যে আল্লাহ প্রেম ও আল্লাহ ভীতি সঞ্চার করে তাই ইলম বা জ্ঞান।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কী?
একজন মুসলমানের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে জীবনের সর্বস্তরে আল্লাহর বিধিবিধান মেনে নেয়া ও তার সন্তুষ্টি অর্জন করাই হলো ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য।
ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিপূর্ণরূপে ইসলামকে তুলে ধরা হয়েছে। ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে আমরা আল্লাহতায়ালার ইবাদ ও আনুগত্য শিখতে পারি। কল্যাণমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন করতে পারি। পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় জানতে পারি।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা দিয়েছেন, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ হওয়ার ব্যাপারে। এই পূর্ণতা লাভের অর্থ এই নয় যে, পূর্ববর্তী নবীদের দীন অপূর্ণ ছিল। ' বাহরে-মুহীত' গ্রন্থে 'কাফফাল মরওয়াযী'এর উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রত্যেক নবী ও রাসুলের দীনই তাঁদের জামানায় পূর্ণাঙ্গ ও পূর্ণ ছিল। যুগ ও জাতি হিসেবে প্রত্যেক ধর্মই ছিল পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু তা সামগ্রিক ছিল না। ইসলামী শরিয়ত এর ব্যতিক্রম। যা পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোনো বিশেষ যুগ, বিশেষ ভূখণ্ড অথবা বিশেষ জাতির সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। বরং কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক যুগ, ভূখণ্ড ও জাতির জন্য একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দীন।
ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। কোনো বিষয়ের ঘাটতি বা কমতি নেই এখানে। যা মানুষকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবন পরিচালনার বিধান সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে। ইসলাম এমনই এক জীবন বিধান, যা পরিপূর্ণ, যুক্তিসংগত ও বাস্তব অগ্নিপরীক্ষায় বারবার পরীক্ষিত ও সফল উত্তীর্ণ জীবন বিধান। মানব জীবনের এমন কোনো দিক বা ক্ষেত্র নেই, যা ইসলামের আওতাধীন নয়। পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইসলাম মানুষের জীবনের সেই পরিপূর্ণতার কথা বারবার ঘোষণা করেছে।
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন,
২. শালীন, মার্জিত ও ব্যক্তিত্ব রক্ষাকারী পোশাক পরিধান করবেন,
৩. বিশুদ্ধ উচ্চারণ ও প্রকাশ ভঙ্গির অধিকারী হবেন,
৪. মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখবেন,
৫. নিয়মনীতির ক্ষেত্রে কঠোর হবেন,
৬. সুস্থ মন ও দেহের অধিকারী হবেন।